এসো মিলি ঐকতানে , প্রিয় স্কুল প্রাঙ্গণে

বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনীতে শৈশবের স্মৃতি চারণা


Hsc batch 2019

তামাই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় 



T.M.H.S STUDENT BATCH 2019 ON FIRE





অনেক আগেই তারা বিভিন্ন গন্তব্যে গেছে। কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ব্যাংকার, কেউ গৃহিণী, কেউ সরকারি কর্মচারী, আবার কেউ হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। একে অপরের সাথে যোগাযোগ ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে সীমাবদ্ধ ছিল। কারও কারও স্কুল জীবন শেষ হওয়ার পর আর যোগাযোগ নেই।


 আজ শুক্রবার তাদের আবার দেখা হয়। উপলক্ষ স্কুল পুনর্মিলনী. ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় 1921 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। 1921 সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে এসে যেন তাদের শৈশবের সোনালী দিনে ফিরে গেছে। স্কুল প্রাঙ্গণে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কণ্ঠ থেকে ‘বন্ধু, বলো কি খবর, কতদিন পর দেখা হবে’, ‘এই মাঠে খেলতাম, আজ চিনতে পারি না’, ‘এমনটাই ছিল সকলের মুখের বুলি। "এখন সবকিছু নোনা জলে ঘেরা। '


মনে জমে থাকা নানা কথা বলছিলেন। স্কুলে প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক এবং সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল হামিদ এবং সহকারী শিক্ষক জনাব জাহিদ স্যার। আমাদের এই প্রোগ্রাম পরিচালনায় ছিলেন আমাদের প্রাণ প্রিয় "স্পোর্টস এন্ড হেলথ" বিভাগের শিক্ষক লিটন কুমার দাস। 


 প্রাক্তন ছাত্র সজিব বেপারী, জয় খান, শেখ রাসেল, জয় শেখ, বাঁধন আলী জোয়াদ্দার সহ আরও অনেকের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে স্মরণসভা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরা তাদের নিজ নিজ বক্তব্য রাখেন। 


আমাদের সকল প্রিয় বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা বললেন, 'পুনর্মিলনীতে এসে স্কুলে পড়ার সেই ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমরা যেদিন চলে যাই সেদিন আমি আমার সহপাঠীদের বলেছিলাম, আবার দেখা হবে। কিন্তু বাস্তবতার কারণে তখন থেকে অনেকের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়নি। 

পুনর্মিলনীতে, আমি আবার তাদের সাথে দেখা করেছি। আমরা সত্যিই নস্টালজিক হয়ে গেছি। ব্যস্ততার কারণে পরিচিত মুখগুলো হারিয়ে যাচ্ছিল যোগাযোগের অভাবে। অনেক বছর পর স্কুলের পরিচিত মুখগুলো আজ একসাথে। শৈশবের সেই রঙিন দিনগুলো বারবার মনে পড়ে। এই বৈঠকটি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দ্বিগুণ করেছে বলে মনে হচ্ছে। 

আমাদের এই অনুষ্ঠানে আয়োজনে থাকে নাচ, গান, সেলফি এবং লটারি ড্র । আলোচনা সভা শেষে বিকেলে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মারক, টি-শার্ট ও অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়। ঘড়ির কাঁটা তখন বিকেল সাড়ে ৪টা, সময় বলল বিদায় জানাতে। যাওয়ার সময় বিদায়ী বন্ধুরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলল, 'আবার দেখা হবে, এটাই শেষবার নয়।'


Date: 12/04/2024

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ